Connect with us

Resources

কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদ কে করেন 100% Easy Way to Know


কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদ কে করেন?

গিরিশ চন্দ্র সেন কি কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদ – মাওলানা আমীরুদ্দীন বসুনিয়া ১৮০৮ সালে সর্বপ্রথম কোরআন শরীফের আংশিক অনুবাদ করেছিলেন। মাওলানা আমীরুদ্দীন বসুনিয়ার পর ১৮৩৬ সালে বাংলাভাষায় কোরআন শরীফের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন মৌলভী নাঈমুদ্দীন। গিরিশ চন্দ্র সেন এই অনুবাদকে শুধু পুস্তক আকারে বাজারে এনেছেন। অর্থাৎ গিরিশ চন্দ্র সেন হচ্ছেন একজন প্রকাশক। গিরিশ চন্দ্র সেন, মৌলভী নাঈমুদ্দীন এর অনুবাদটি অনেক পরে বাজারে পুস্তক আকারে নিয়ে আসেন, তাও ১৮৮৬ সালে। তাই গিরিশ চন্দ্র সেন কোরআন শরীফের প্রথম বাংলা অনুবাদক নন।

মৌলভী নাঈমুদ্দীনই প্রথম বাংলাভাষায় সম্পূর্ণ কোরআনের অনুবাদক। ১৮৩৫ সালে গিরিশ চন্দ্র সেন জন্ম গ্রহন করেন এবং তিনি মারা যান ১৯১০ সালে।
“আরও পড়ুন”
গিরিশ চন্দ্র সেনের জন্মেরও আগে আংশিক ভাবে কোরআনের অনুবাদ করেন মাওলানা আমীর উদ্দিন বসুনিয়া।
এরপর মৌলভী নাঈমুদ্দীন পূর্ণাঙ্গ কুরআন মাজীদের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন গিরিশ চন্দ্র সেনের জন্মের ১ বছর পরেই।

গিরিশ চন্দ্র সেন কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদ করেন

গিরিশ চন্দ্র সেন আরবি জানতেন না, এমনকি আরবি ব্যাকরণও না তাহলে কিভাবে তিনি কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদ! বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে সবাই জানেন যে গিরিশ চন্দ্র কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক কিন্তু তিনি আরবি ও আরবি ব্যাকরণের কিছুই জানতেন না!
এই ভুল প্রচারনার একটি কারন হচ্ছে ওই সময় ব্রাহ্মধর্মের  বেশ জোয়ার ছিল।
গিরীশ ছিলেন গোঁড়া হিন্দু। তিনি তাঁর হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তখন ব্রাহ্মধর্ম ছিল এইদেশে নতুন ধর্মমত।
তাই এ ধর্মমত আপামর জনসাধারণের মধ্যে প্রচারের জন্য গিরীশ চন্দ্র নিজে উদ্যোগী হলেন।
এই নতুন ধর্মের প্রচারের জন্য গিরীশ নিজেই উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু প্রচারে নেমে তিনি অর্থের সংকটে পড়েন।

গিরীশ চন্দ্র সেন অর্থের জন্য কোরআন শরিফ ছাপিয়ে ছিলেন এবং রিতিমত বনে যান কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদ

তখন মুসলমানদের ছিল প্রচুর টাকা পয়সা। তাই তিনি মুসলমানদের নিকট থেকে টাকা বের করার জন্য বেশকিছু ইসলামিক বই রচনা করেন।
তিনি মৌলভী নাঈমুদ্দীনের করা কোরআন শরীফের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদটি প্রকাশ করে দেন।
যার ফলে মুসলিম সমাজ প্রচুর পরিমাণে কোরআনের এই বাংলা অনুবাদ সংগ্রহ করা শুরু করেন। এতে গিরীশ চন্দ্র সেনও বাজার থেকে প্রচুর অর্থ কামিয়ে নেন।
বাংলা ভাষাভাষী মুসলমানদের মধ্যে প্রচার পেয়ে যায় গিরীশ চন্দ্র সেন হচ্ছে কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক।
যার ফলে মৌলভী মোহাম্মদ নঈমউদ্দীনের নামটি ঢাকা পড়ে যায়। কিছু লোক মৌলভী মোহাম্মদ নঈমউদ্দীনের এই কৃতিত্তের কথা জানত।
কিন্তু তখনকার রাজনৈতিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের কারনে তা আর ব্যাপকভাবে প্রচার করা সম্ভব হয় নি।
গিরীশ কোরআনের অনুবাদ বিক্রি করে যে অর্থ পেয়েছিলেন তা দিয়ে তিনি তাঁর ব্রাহ্মধর্ম প্রচারে কাজে লাগান।
আর এভাবেই আল কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদকারি হয়েও মৌলভী মোহাম্মদ নঈমউদ্দীন ছিলেন বাংলা ভাষাভাষীদের নিকট একজন অপরিচিত ব্যক্তি।

তথ্যসুত্রঃ

  • দৈনিক ঢাকাঃ ৭ই সেপ্টেম্বর,২০১৮
  • জিব্রাইলের ডানাঃ ১লা মার্চ,২০০৯
  • বিডি আল কোরআনঃ ৪ঠা এপ্রিল,২০১৩
  • সাইবার মোজাহিদঃ জানুয়ারি,২০১৮
  • মাসিক মদিনাঃ আগস্ট,২০০৪, প্রশ্নোত্তর পর্ব ৪৭ পৃ.
আর এভাবেই আল কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদকারি হয়েও মৌলভী মোহাম্মদ নঈমউদ্দীন ছিলেন বাংলা ভাষাভাষীদের নিকট একজন অপরিচিত ব্যক্তি।

তথ্যসুত্রঃ

  • দৈনিক ঢাকাঃ ৭ই সেপ্টেম্বর,২০১৮
  • জিব্রাইলের ডানাঃ ১লা মার্চ,২০০৯
  • বিডি আল কোরআনঃ ৪ঠা এপ্রিল,২০১৩
  • সাইবার মোজাহিদঃ জানুয়ারি,২০১৮
  • মাসিক মদিনাঃ আগস্ট,২০০৪, প্রশ্নোত্তর পর্ব ৪৭ পৃ.

Our Sections

Explore our Fitness section and gain valuable insights to support your wellness journey.
Check out our Health section for essential information on maintaining a balanced lifestyle.
Discover our Beauty Skincare section for expert tips and advice to enhance your skincare routine.
Visit our Nutrition section for guidance on improving your diet and overall health.
Dive into our Lifestyle section for articles that enrich your daily life.
Explore our Pregnancy section for support and information during this special time.
Browse our Resources section for a variety of helpful articles.
Don’t forget to visit and subscribe to our YouTube channel for more content and updates!
Follow our Facebook X  Pinterest Quora Instagram LinkedIn Threads Telegram Reddit


IQ Option

Legit Way to Earn from Binary Options – IQ Option Guide for Beginners


Legit Way to Earn from Binary Options – Why IQ Option is the Best Platform for Beginners

In today’s digital era, more and more people are looking for ways to earn extra income online. One of the most popular and legitimate methods is binary options trading. While many platforms exist, not all of them are trustworthy or beginner-friendly. In this article, we’ll show you how to start trading binary options the right way, and why IQ Option stands out as the best platform to do it.

IQ Option Review 2025: Is It Still Safe or a Scam?

What are Binary Options?

Binary options are a simple form of trading where you predict whether the price of an asset (like a stock, currency pair, or commodity) will go up or down within a certain time frame. If you’re right, you earn a fixed return. If you’re wrong, you lose the amount you invested. It’s called “binary” because there are only two possible outcomes: win or lose.

Why People Are Earning Legit Money from Binary Options

  • ✅ Low investment required (you can start with as little as $10)
  • ✅ Clear rules and payout structures
  • ✅ Available 24/7 through mobile apps
  • ✅ Legal in many countries
  • ✅ Perfect for people with limited time or experience

Is Binary Options Trading Legal and Safe?

Yes, but only when done through regulated and transparent platforms. Some binary trading platforms are scams, so it’s crucial to pick a reliable broker.

This is where IQ Option comes in. Let’s explore why it’s the safest and most trusted platform for beginners and experts alike.

Why IQ Option is the Best Platform to Earn from Binary Options

1. Fully Regulated and Secure

IQ Option is regulated and follows strict financial industry standards. It uses advanced encryption to keep your data and funds safe.

2. Easy-to-Use Mobile and Desktop App

Whether you’re trading on your phone or computer, IQ Option provides a smooth and intuitive interface that even beginners can master in minutes.

3. Start with Just $10

Many platforms require a $100+ deposit. With IQ Option, you can start trading with only $10 and open trades with as little as $1.

4. Free Demo Account

Practice with $10,000 in virtual funds before risking your real money. Learn strategies, test predictions, and build confidence.

5. Real-Time Market Data

Get accurate, up-to-date charts and trading tools. IQ Option provides technical indicators, trend lines, and even news updates for smart decision-making.

6. Fast Withdrawals

You can withdraw your profits anytime using Skrill, Neteller, Bank Transfer, or other local options. Most withdrawals are processed within 24 hours.

‍ 7. Learn While You Earn

IQ Option offers free tutorials, webinars, and trading guides to help beginners master the platform.

How to Get Started with IQ Option (Step-by-Step Guide)

  1. Create a Free Account: Click here to Sign Up using our trusted partner link. You’ll get access to a bonus guide after signing up.
  2. Choose Your Market: Select from Forex, Binary Options, Crypto, Stocks, or ETFs – all in one place.
  3. Try Demo Account First: Practice without any risk using the demo account. Once confident, switch to a real account.
  4. Deposit and Start Trading: Fund your account with $10 or more. Use IQ Option’s powerful chart tools to predict the market and open trades.
  5. Withdraw Profits: Once you earn, withdraw directly to your bank or e-wallet within hours.

Real People, Real Results

Thousands of people from Nigeria, Kenya, Philippines, India, South Africa, and Bangladesh are already earning passive income from IQ Option.

Just imagine earning $100–$500 daily from your mobile — no office, no boss, no experience needed. Many have even made this their full-time income stream.

Tips to Earn Legit Money on IQ Option

  • ✅ Start small and trade with discipline
  • ✅ Never risk more than 5% of your capital on one trade
  • ✅ Learn basic technical analysis
  • ✅ Use trend-following strategies
  • ✅ Watch live trading sessions and tutorials
  • ✅ Don’t get emotional — follow your plan

Frequently Asked Questions (FAQ)

Q: Can I trade on IQ Option from my country?
A: IQ Option is available in most countries including Nigeria, Kenya, India, Philippines, and Bangladesh.

Q: Is it possible to earn $100 daily?
A: Yes, many traders consistently earn $100–$500 per day using proper strategies and risk management.

Q: How can I contact support?
A: IQ Option offers 24/7 live chat and email support.

Q: Is trading risky?
A: Like any investment, trading involves risk. But using the demo account and learning the basics reduces your chances of loss.

Final Thoughts

If you’re serious about earning money online, binary options with IQ Option is one of the most legit and beginner-friendly ways to start. With its secure platform, low investment barrier, and helpful tools, it’s perfect for anyone looking to build a second income stream.

Click here to sign up and claim your trading guide

Make the smart move today. Your financial freedom is just a few trades away.

Read More: Want to Learn How to Trade Online 100% FREE from Your Mobile?

Our Sections

Check out our Health section for essential information on maintaining a balanced lifestyle.
Discover our Beauty Skincare section for expert tips and advice to enhance your skincare routine.
Visit our Nutrition section for guidance on improving your diet and overall health.
Dive into our Lifestyle section for articles that enrich your daily life.
Explore our Pregnancy section for support and information during this special time.
Browse our Resources section for a variety of helpful articles.
Don’t forget to visit and subscribe to our YouTube channel for more content and updates!
Follow our Facebook X  Pinterest Quora Instagram LinkedIn Threads Telegram Reddit

Want to Learn How to Trade Online 100% FREE from Your Mobile?


Continue Reading

Resources

Olympics Sailing 2024: A Comprehensive Guide


The Olympics Sailing 2024 event is set to be one of the most exciting and anticipated competitions in the sailing world. As sailors from around the globe prepare to showcase their skills and vie for the coveted Olympic gold, enthusiasts and newcomers alike are eager to learn more about this prestigious event. In this article, we’ll delve into everything you need to know about Olympics Sailing 2024, including key events, participating athletes, and the significance of this sport in the Olympic Games.

Olympics Sailing 2024

Sailing in the Olympics has a rich history, dating back to the early 20th century. The Olympic sailing events have evolved over the years, incorporating various classes and formats to challenge athletes and captivate audiences. The 2024 Olympics sailing schedule promises to be a thrilling spectacle, featuring multiple classes and disciplines.

Key Events in Olympics Sailing 2024

The Olympics Sailing 2024 will include a range of events across different classes. Here’s a breakdown of the main events to look out for:
1. Laser Class: Known for its single-handed dinghy sailing, the Laser class is one of the most competitive and popular events in the Olympics.
2. 49er Class: This skiff-style boat is designed for two-person teams and is known for its speed and agility.
3. Finn Class: A heavyweight single-handed dinghy, the Finn class requires strength and precision.
4. Nacra 17 Class: A mixed-gender event, the Nacra 17 class features a high-performance catamaran.
5. RS:X Class: The windsurfing event in the Olympics, the RS:X class demands both sailing skills and physical endurance.

READ MORE : Why Michelle Obama Wasn’t Impressed When She First Met Barack

Top Athletes to Watch in Olympics Sailing 2024

As we approach the 2024 Olympics sailing competition, several athletes have emerged as top contenders. Keep an eye on these sailors who have made a mark in previous competitions and are expected to perform exceptionally well:

  • Tom Burton (Australia): A gold medalist in the Laser class at the Rio 2016 Olympics, Burton is a strong contender for 2024.
  • Marit Bouwmeester (Netherlands): With multiple Olympic medals in the Laser Radial class, Bouwmeester is a formidable competitor.
  • Giles Scott (Great Britain): The defending champion in the Finn class, Scott is a sailor to watch.
  • Martine Grael and Kahena Kunze (Brazil): This dynamic duo won gold in the 49er FX class at the Rio 2016 Olympics and remain top competitors.

The Venue: Paris 2024 Sailing Events

The Paris 2024 Olympics sailing events will be held at the stunning Marseille Marina, known for its excellent sailing conditions and scenic beauty. Marseille’s coastline offers a challenging yet picturesque setting for the athletes, making it an ideal location for the Olympics sailing competition.

READ MORE

Importance of Sailing in the Olympics

Sailing as an Olympic sport holds great significance for both athletes and fans. It not only tests the physical and mental endurance of the competitors but also showcases their strategic thinking and adaptability to changing weather conditions. The inclusion of mixed-gender events in recent years reflects the progressive nature of the sport, promoting gender equality and inclusivity.

How to Watch Olympics Sailing 2024

For those eager to watch the Olympics sailing events live, various broadcasting networks and online platforms will provide comprehensive coverage. Keep an eye on official Olympic websites and sports channels for live streaming options and schedules.

The Olympics Sailing 2024 is set to be a spectacular event, bringing together the world’s best sailors to compete in one of the most prestigious sporting arenas. Whether you’re a sailing enthusiast or a casual viewer, the upcoming Olympic sailing events offer excitement, competition, and a showcase of incredible talent. Stay tuned for more updates and coverage as we approach this monumental event in the world of sailing.

#OlympicsSailing2024 #Paris2024 #MarseilleMarina #OlympicSailing #LaserClassSailing #49erClass #FinnClass #Nacra17 #OlympicGold #SailingCompetition #MixedGenderEvents #TopAthletes2024 #SailingFans #WatchLiveOlympics #OlympicHistory

Our Sections

Explore our Fitness section and gain valuable insights to support your wellness journey.
Check out our Health section for essential information on maintaining a balanced lifestyle.
Discover our Beauty Skincare section for expert tips and advice to enhance your skincare routine.
Visit our Nutrition section for guidance on improving your diet and overall health.
Dive into our Lifestyle section for articles that enrich your daily life.
Explore our Pregnancy section for support and information during this special time.
Browse our Resources section for a variety of helpful articles.
Don’t forget to visit and subscribe to our YouTube channel for more content and updates!


Continue Reading

Resources

10 টি গুন খাদিজা রাঃ | ইসলাম ধর্মে খাদিজা রাঃ এর অবদান


খাদিজা (রাঃ) কে ছিলেন?

খাদিজা রাঃ – প্রিয় পাঠকরা অনলাইনে হযরত খাদিজা (রাঃ) সম্পর্কে জানতে যেসব লিখে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিয়ে থাকেন তা নিচে দেওয়া হলঃ  খাদিজা (রাঃ) |
খাদিজা রাঃ এর জীবনী, হযরত খাদিজা রাঃ এর জীবনী, হযরত খাদিজা রাঃ এর জীবনী রচনা, মা খাদিজার জীবনী, মা খাদিজার জীবন কাহিনী, মা খাদিজা রাঃ এর জীবনী,
খাদিজার জীবনী, খাদিজা রাঃ এর জীবনী pdf, হযরত খাদিজা রাঃ এর পরিচয়, বিবি খাদিজার জীবনী,
খাদিজার কাহিনী, khadija radi allahu anhu story bangla,
বিবি খাদিজা জীবনী, খাদিজা, hazrat khadija jiboni bangla, ma khadijar jiboni kahini, হযরত খাদিজা, মা খাদিজা, বিবি খাদিজা, খাদিজাতুল কুবরা জীবনী,
খাদিজার মৃত্যুর ঘটনা, হযরত খাদিজা রাঃ এর মৃত্যু, হযরত খাদিজা (রাঃ) এবং ইসলাম  

হযরত খাদিজা (রাঃ) এবং ইসলামে তার অবদান

হযরত খাদিজা (রাঃ) এবং ইসলামঃ বিবি খাদিজা (রাঃ) এর সার্বিক জীবন আলোচনা করলে মূলত আমারা দেখতে পাই যে,

আল্লাহর ধর্ম ইসলাম এই দুনিয়ায় কায়েমে তিনি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং অপরিসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন।

আল্লাহ্‌র ধর্ম তার ব্যক্তিগত জীবনে পালন এবং তা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অপরিসীম।

সর্ব শেষ নবীর (সাঃ) প্রতি তার আনুগত্য, তাকে বিপদে আপদে সাহস দেওয়া এবং একজন স্ত্রী হিসেবে তিনি ছিলেন অতুলনীয়,

যা আমাদের বর্তমান মা বোনদের জন্য আদর্শ হয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন

  1. বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া
  2. সালাম ফেরানোর আগে যে দোয়া পড়লে গোনাহ মাফ হয়
  3. বিভিন্ন নফল নামাজ ও নফল নামাজের ফজিলত
  4. মনের আশা পূরণ হওয়ার দোয়া

খাদিজা (রাঃ) বিয়ে

খাদিজা রাঃ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সাথে বিয়ে হওয়ার পরে তিনি তার যত ধন সম্পদ ছিল সব কিছু ইসলামের জন্য দান করেছিলেন এবং

আমাদের নবীজির নবুয়াতের পর তথা ইসলাম গ্রহণের পর নিজেকে আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দিয়েছিলেন।

হযরত খাদিজা (রাঃ)

হযরত মুহাম্মদ সাঃ যখন নবুয়াত লাভ করেন, তখন বিবি খাদিজা রাঃ ছিলেন প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারি ব্যক্তি পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে। ইসলাম গ্রহণের পর হযরত খাদিজা রাঃ সাথে আমাদের প্রিয় নবীর জীবন আনন্দের সাথে কাটতে থাকে। কিন্তু নিবিজি সাঃ কে আল্লাহ্‌ পাঠিয়েছেন, আল্লাহর বান্দাদের পথ দেখানোর জন্য তার দ্বারা কি আর আরাম আয়েশে জীবন কাটান সম্ভব, তাই তিনি দিন প্রচারে বের হয়ে গেলেন এবং মা খাদিজা রাঃ তাকে সর্বাত্মক ভাবে সাহায্য করতে লাগলেন। রাসূলুল্লাহর (সাঃ) পঁয়ত্রিশ বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর মধ্যে এক গভীর আধ্যাত্মিক ভাবান্তরের। রাসুলুল্লাহ সাঃ তাঁর ৩৫ বছর বয়সেই শুরু করেন গভীর ধ্যান। তিনি মক্কা থেকে হেরা নামক এক পাহাড়ের গুহায়

আরও পড়ুন

  1. Why Michelle Obama Wasn’t Impressed When She First Met Barack
  2. How to Ensure a Normal Delivery : A Complete Guide
  3. জনি সিন্স এর স্ত্রী, বয়স, সিং কি কাজ করে, এর পিক, বউ
  4. নরমাল ডেলিভারির সুবিধা ও কিভাবে করা হয়?
  5. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের উপকারিতা

শুরু করেন সেই সাধনা, এই পৃথিবীর সত্য জানার জন্য। তখন থেকেই খাদিজা রাঃ উনার সব কাজে সহযোগিতা করতেন।

নবীজি সাঃ মাঝে মাঝে টানা তিন দিন ও ধ্যানে থাকতেন পরে নিজ বাড়িতে আসতেন।

আবার প্রয়োজনীয় খাবার পানি নিয়ে চলে যেতেন হেরা গুহায়। মাঝে মাঝে খাজিদা রাঃ ও প্রয়োজনীয় খাবার পানি দিয়ে আসতেন।

মোট কথা নবী করীম সাঃ এর ধ্যান করা থেকে শুরু করে ইসলাম আল্লাহর তরফ থেকে আশা পর্যন্ত মা খাদিজা রাঃ ছিলেন ইসলামের প্রথম

দিকের সর্বাত্মক সহযোগী। এবং হযরত খাদিজা রাঃ ইসলাম আল্লাহর তরফ থেকে মনোনীত ধর্ম হওয়ার পর থেকেই ছিলেন

এর প্রথম ইসলাম গ্রহণ কারি এবং ইসলামের সেবক।

ইসলাম ধর্মে বিবি খাদিজা রাঃ ছিলেন অত্যন্ত ধৈর্যশীল একজন নারী

রাসুল সাঃ যখন হেরাগুহায় ধ্যানে থাকতেন, তখন খাদিজা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন এক সত্য অবশ্যই আসবে।

তাই তিনি সর্বাত্মক ভাবে নবীজি সাঃ কে ধৈর্য সহকারে সাহায্য সহযোগিতা করতেন। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই আল্লাহর তরফ থেকে হযরত মুহাম্মাদ

সাঃ কাছে সূরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াত নাজিল হল। এতে নবীজি ভিত সন্ত্রস্ত হলে বিবি খাজিদা রাঃ পরম মমতায় তাকে সান্তনা দিলেন

এবং সাহস যোগালেন। এবং বললেন আপনি কারো হক মেরে খান না, আপনি মানুষকে কখন কষ্ট দেন না। আপনার আল্লাহ্‌ আপনাকে নবী হিসেবে

মনোনীত করেছেন বলে আমার বিশ্বাস। এই বলে তিনি রাসুল সাঃ কে সাহস দিলেন।

আরও পড়ুন

খাদিজা রাঃ প্রথম মুসলিম

নবীজি সাঃ উপর আল্লাহর কোরআন নাজিল হওয়ায় তিনি অনেক ভিত হলেন। তাই খাজিদা রাঃ ওয়ারাকা ইবনে নওফেলের

কাছে গেলেন এবং তাকে সব কিছু খুলে বললেন। ওয়ারাকা ইবনে নওফেল ছিলেন ইঞ্জিল এবং তাওরাত বিশেষজ্ঞ। সব কিছু শুনে ওয়ারাকা বললেন, এই

হচ্ছে সেই ফেরেশতা যিনি পূর্বের সব নবী রাসুলের কাছে এসেছিলেন। এই ফেরেশতার নাম হচ্ছে জিব্রাইল আঃ। হে খাদিজা, তুমি বিশ্বাস কর এই সেই ফেরেশতা

যিনি মুসার কাছে আল্লাহর তরফ থেকে আসতেন। মূলত হচ্ছে মুহাম্মাদ সাঃ আল্লাহর তরফ থেকে নবী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।

খাদিজা তুমি মুহাম্মদ সাঃ বলবে যেন তিনি এই সত্যের উপর অবিচল থাকেন।

সব কিছু শুনে বিবি খাদিজা রাঃ গৃহে আসলেন এবং নবীজির সাঃ কাছে এসে সব কিছু খুলে বললেন, এবং তখনই তিনি

নবীজি সাঃ কে আল্লাহর মনোনীত নবী এবং এক আল্লাহর প্রতি ইমান আনলেন। এভাবেই খাজিদা রাঃ হয়ে গেলেন প্রথম ইসলাম

ধর্ম গ্রহণকারি। খাজিদা রাঃ ছিলেন নারী এবং পুরুষের মধ্যে প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ কারি মুসলিম।

খাদিজা রাঃ ছিলেন রাসূলুল্লাহর (সাঃ) একমাত্র সান্ত্বনা দানকারী

হযরত মুহাম্মদ সাঃ যখন সত্য প্রচারে বের হলেন তখন মক্কার বিভিন্ন গোত্র থেকে তাঁর উপর নেমে আসল অমানুষিক নির্যাতন।

তখন বিবি খাদিজা রাঃ রাসুল সাঃ সাহস এবং সান্তনা দিতেন। ইসলাম প্রচারের শুরুর দিকে যে পরিমাণ কষ্ট আমাদের নবীজি সাঃ

করেছেন তাঁর কোন শেষ নেই। সেই সময় রাসুল সাঃ এর একমাত্র সান্তনাদান করি ছিলেন নবীজির প্রথম স্ত্রী খাদিজা রাঃ।

রাসুল সাঃ ইসলাম প্রচারের কাজে বের হয়ে যখন আঘাত এবং কষ্ট পেতেন, তখন তিনি বিবি খাদিজা রাঃ কাছে আসলে নিবিজির সব

কষ্ট দূর হয়ে যেত।

খাদিজা (রাঃ) ধনসম্পত্তি ইসলামের  খেদমতে বিলিয়ে দিয়েছিলেন

খাদিজা রাঃ সব সময় নবীজি সাঃ কে বলতেন আপনি কষ্ট পাবেন না। কারন আপনি আল্লাহর মনোনীত বান্দা এবং রাসুল।

তাই আপনাকে মানুষের দেওয়া কষ্টগুলোকে হালকাভাবে নিতে হবে। কারন তারা বুঝে না। মোট কথা হচ্ছে খাজিদা রাঃ রাসুল সাঃ কাছে ছিলেন

আস্থার এক চূড়ান্ত জায়গা। নবীজি সাঃ কখনো চিন্তিত থাকলে তাঁর প্রভাব আমাদের খাদিজা রাঃ উপর ও পরত। কারন তিনিই প্রথম

আল্লাহর তরফ থেকে মনোনীত রাসুলের আসল রুপ ও সৌন্দর্য দেখেছিলেন এবং অন্তর থেকে অনুভব  করেছিলেন।

খাদিজা রাঃ তাঁর জীবনের সমস্ত সম্পদ ইসলাম প্রচারের কাজে নিবিজির সাথে সমর্পণ করেছিলেন। কখনো এই সম্পদের

হিসাব তিনি তাঁর কাছ থেকে নিতেন না বা তাকে তাঁর সম্পদ নিয়ে কোন কথা বলতেন না।

হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন স্নেহ বৎসল জননী

খাদিজা রাঃ ছিলেন, একজন স্নেহমাখা স্ত্রী, ঘরের কাজে মনযোগী, দরিদ্র মানুষের সাহায্য কারি, এতিম , বিধবা এবং দুস্থ মানুষের সহায়ক।

একদিন তিনি রাসুল সাঃ কে একটি কাঠের উপর বসিয়ে গোছল করাচ্ছিলেন তখন খাদিজা রাঃ এর একটি  পায়ের আঙ্গুল সেই কাঠের নিচে

পরে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল ।

এবং তা নবীজির গোছলের পানির সাথে মিশে গিয়েছিল। কিন্তু তিনি তখন বিন্দু পরিমাণ আওয়াজ করেন নাই,

কারণ এতে নবীজির গোছলের ব্যাঘাত হতে পারে। ইসলামের প্রতি খাদিজা রাঃ ত্যাগ ছিল অপরিসীম যা আমাদের সমাজের প্রত্যকে

মা বোনের সাথে শিক্ষণীয়।

আরও পড়ুনঃ

Our Sections

Explore our Fitness section and gain valuable insights to support your wellness journey.
Check out our Health section for essential information on maintaining a balanced lifestyle.
Discover our Beauty Skincare section for expert tips and advice to enhance your skincare routine.
Visit our Nutrition section for guidance on improving your diet and overall health.
Dive into our Lifestyle section for articles that enrich your daily life.
Explore our Pregnancy section for support and information during this special time.
Browse our Resources section for a variety of helpful articles.
Don’t forget to visit and subscribe to our YouTube channel for more content and updates!


Continue Reading

Resources

খাদিজা রাঃ প্রথম স্ত্রি | হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর 1 স্ত্রী


খাদিজা রাঃ প্রথম স্ত্রি | হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর প্রথম স্ত্রী

খাদিজা রাঃ প্রথম স্ত্রি | মা খাদিজা রাঃ “তাহিরা বা পবিত্র” নামে খ্যাত ছিলেন মক্কা নগরীতে। আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ সাঃ ভীষণ কেঁদেছিলেন খাদিজা রাঃ মৃত্যুর সময় এবং আমাদের নবীজি সাঃ অনেক একা হয়ে যান।

এর কারন হচ্ছে খাদিজা রাঃ ইন্তেকালের কিছুদিন আগেই চাচা আবু তালিব এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে যান। খুব দ্রুত প্রিয় দুইটি মানুষ তাঁর জীবন থেকে চলে যাওয়ায় তিনি ঐ বছরটিকে শোকের বছর হিসেবে ধরে নিতেন। খাদিজা রাঃ প্রথম স্ত্রি

হযরত মুহাম্মদ সাঃ প্রথম স্ত্রী খাদিজা রাঃ জন্মগ্রহন করেন মক্কাতে। খাদিজা রাঃ নাম মক্কাতে ছিল তাহিরা, যার অর্থ পবিত্র। মা খাদিজা যখন ইন্তেকাল করেন নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাঃ কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, আমার খাদিজা ছিল অতুলনীয়। খাদিজা রাঃ প্রথম স্ত্রি 

সবাই যখন আমাকে ছেড়ে চলে গেছে খাদিজা আমাকে ছেড়ে যায় নি, আমি তাঁর কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছি সব সময়। খাদিজা আমাকে তাঁর অর্থ ও সম্পদ দিয়ে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। খাদিজা রাঃ প্রথম স্ত্রি

খাদিজা রাঃ প্রথম স্ত্রি –  হযরত খাদিজা (রাঃ) মক্কার কোরাইশ বংশের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

কিন্তু মা হযরত খাদিজা (রাঃ) খুবই সাধারন জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। খাদিজা এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন। ইসলাম ধর্ম আসার আগে তিনি হযরত ইব্রাহিম আঃ এর ধর্ম পালন করতেন। তখন আরবে হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন অত্যন্ত দানশীল।

দান করার ক্ষেত্রে তাঁর সমকক্ষ কেউ ছিল না। খাদিজা রাঃ ছিলেন হিজাজের অনেক বড় মাপের একজন মহিলা ব্যবসায়ী। হযরত খাদিজা (রাঃ) আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাস করতেন এবং তাঁর এটার প্রতি অনেক বেশি ঝোঁক ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন যে হযরত মুহাম্মদ সাঃ একদিন আসবেন এবং তিনি আমাদের নবীজি সাঃ জন্য অপেক্ষা করতেন।

তাই তিনি মাঝে মধ্যে আরবের সবচেয়ে বড় বড় ধর্মযাজকদের নবীজির আগমনের বা নবীজির আগমনের নিদর্শন সম্পর্কে জানতে চাইতেন।

হয়তো হযরত খাদিজা (রাঃ) এই আগ্রহের জন্যই মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন রাসুল সাঃ এর নবুয়াতের আগেই খাদিজা রাঃ সাথে পরিচয় ঘটিয়ে দেন এবং রাসুলুল্লাহ সাঃ কে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কাজে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে পাঠান।

আরও পড়ুন

  1. বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া
  2. সালাম ফেরানোর আগে যে দোয়া পড়লে গোনাহ মাফ হয়
  3. বিভিন্ন নফল নামাজ ও নফল নামাজের ফজিলত
  4. মনের আশা পূরণ হওয়ার দোয়া
  5. খাদিজা (রাঃ) কে ছিলেন?

খাদিজা (রাঃ)  মুগ্ধ হন নবীজির (সাঃ) প্রতি

খাদিজা রাঃ প্রথম স্ত্রি – আমাদের নবীজির সাঃ এর উত্তম গুণাবলী এবং তাঁর আমানতদারিতা খাদিজার রাঃ কাজে অনেক ভালো লাগে।
মা খাদিজা বুঝতে পারেন হযরত মুহাম্মদ সাঃ হচ্ছেন আরবের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ও সৎ একজন পুরুষ।

তিনি আরও বুঝতে পারেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের অধিকারের ক্ষেতে খুবই সচেষ্ট।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এইসব গুণাবলীর জন্য তিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) চাচা আবু তালিবের কাছে বিহাবের প্রস্তাব পাঠান।
চাচা আবু তালিব সবকিছু বিবেচনা করে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সম্মতি নিয়ে বিবাহে রাজি হন।
এরপর থেকেই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং খাদিজা রাঃ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দাম্পত্য জীবনের যাত্রা শুরু করেন।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স তখন ছিল ২৫ এবং খাদিজা রাঃ বয়স ছিল তখন ৪০।

রাসুল সাঃ এর সাথে বিয়ে হলে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিবি খাদিজা রাঃ কে সঠিক পথে পরিচালিত করবেন এইটা খাদিজা জানতেন।

কিন্তু তখনকার আরব সমাজ এই বিয়েটা সহজভাবে নিতে পারে নাই।

কারন সেই অন্ধকার যুগে সবকিছু মাপা হতো ধনসম্পত্তির উপর ভিত্তি করে।

কিন্তু আমাদের নবীজির অর্থ সম্পদ কিছুই ছিল না।

অপরদিকে মা খাদিজার অঢেল সম্পত্তি ছিল। তাই সমাজে সবাই নাক ছিটকাতে থাকে।

অনেকেই বিবি খাদিজা বলতে থাকে তুমি কেন এত দরিদ্র একটি ছেলেকে বিয়ে করতে গেলে।

বিবি খাদিজা রাঃ এর উত্তরে বলতেন, “এই সমাজে মুহাম্মদ (সাঃ)-র মতো আর কেউ কি আছে?
তার মতো সচ্চরিত্রবান ও মর্যাদাবান দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে কি তোমরা চেন?
আমি তার সৎ গুণাবলীর কারণেতাকে বিয়ে করেছি।”

কিন্তু তখনকার সমাজ বিবি খাদিজার এই যুক্তি বুঝেনি।

আর তাই আরবের অনেকেই বিবি খাদিজার সাথে শত্রুতা শুরু করে দেয়।

আর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নবুয়াতের পর এই শত্রুতা আরও বেড়ে যায়।

বিবি খাদিজার প্রতি শত্রুতার এতো পরিমাণেই বেড়ে যায় যে, তিনি যখন সন্তান প্রসব করেন কেউ তাকে সাহায্য করে নাই।

মোট কথা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে বিয়ে করার কারনে তিনি তখনকার সমাজ থেকে একেবারে বিছিন্ন হয়ে পড়েন।

কিন্তু মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন খাদিজার রাঃ একাকীত্ব দূর করে দেন

এবং তাঁর সন্তান প্রসবের সময় মহান আল্লাহ্‌ পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত মহিলাদের পাঠিয়েছিলেন তাকে সাহায্য করার জন্য।

খাদিজা রাঃ অনেক সম্পদের মালিক হলেও তাঁর ব্যবহার ছিল খুবই পরিমার্জিত ও ভারসাম্যপূর্ণ।

খাদিজা রাঃ ভিতর কোন ধরনের অহংকার বা দেমাগ কিছুই ছিল না।

তিনি সর্বদা রাসুল সাঃ প্রতি ও তাঁর ইবাদতের প্রতি আগ্রহি ছিলেন।

তাই বিবি খাদিজা রাঃ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ইবাদতে ব্যাঘাত ঘটে এমন কিছুই করতেন না।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন নবুয়াত প্রাপ্ত হলেন তখন নবীজির আত্মীয়-স্বজন নবীজিকে ত্যাগ করে
কিন্তু খাদিজা রাঃ নবীজির সাথে আঠার মত লেগে ছিলেন।

তাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। নবীজির ধর্মকে তিনি কোন প্রকার প্রশ্ন ছাড়াই গ্রহণ করেন এবং ইসলাম ধর্মে প্রবেশ করেন প্রথম।

তিনি শুধু মুখে মুখে তাঁর স্বামীর ধর্ম ইসলামকে গ্রহণ করেন নি খাদিজার যত অর্থ সম্পদ ছিল সব নবীজি সাঃ কে দিয়ে দিয়েছিলেন ইসলাম এর প্রচার ও প্রসারের জন্য।

মুসলিমরা যখন ইসলামের প্রথম যুগে শোয়াবে আবু তালিব নামক উপত্যকায় অবরুদ্ধ ছিল।

তখন বিবি খাদিজা রাঃ তাঁর অর্থ সম্পদ দিয়ে মুসলমানদের টিকিয়ে রেখেছিলেন আল্লাহর ইচ্ছায়।

খাদিজা রাঃ ছিলেন অনেক ধৈর্যশীল মহিলা এবং অনেক বিচক্ষন।

শত বাধা ও প্রতিকুলতার মধ্যে তিনি মানবতার মুক্তির দূত রাসুল সাঃ এর প্রতি ছিল তাঁর অগাদ বিশ্বাস ও আস্থা।

আর তাই তিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মান মর্যাদার প্রতি ছিলেন সদা সচেষ্ট।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর যদি কোন কারনে মন খারাপ থাকতো খাদিজা রাঃ নিজের সবটুকু দিয়ে
চেষ্টা করতেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ও তাঁর মন ভালো করার।

তিনি সব কাজে রাসুল সাঃ কে উত্তম পরামর্শ দিতেন। বিবি খাদিজা রাঃ ছিলেন রাসুল সাঃ এর যোগ্য পরামর্শক ও উপদেস্টা।

মুসলিম ইতিহাসবিদ ইবনে হেশাম লিখেছেন, হযরত খাদিজা রাসূলের প্রতি ঈমান আনেন।

রাসূলের বক্তব্যকে সমর্থন করেন এবং তাকে সর্বাত্বক সহযোগিতা দেন।

আল্লাহতায়ালা হযরত খাদিজার মাধ্যমে রাসূলকে প্রশান্তি দিতেন।

রাসূলের কানে কখনোই দু:সংবাদ পৌছানো হতো না যতক্ষণ না পর্যন্ত আল্লাহ খাদিজার মাধ্যমে ঐ খবর শ্রবনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতেন।

ইতিহাস সাক্ষি রাসুল সাঃ কে একদল লোক পাথর নিক্ষেপ করতে করতে খাদিজার বাড়ি পর্যন্ত চলে
আসে এবং বিবি খাদিজার বাড়িতেও পাথর নিক্ষেপ করে।

বিবি খাদিজা রাঃ বাড়ি থেকে বের হয়ে মক্কার কাফির মুশরিকদের তীক্ষ্ণ ভাষায় বলেন, “লজ্জা করেনা তোমরা তোমাদের বংশের সবচেয়ে মহানুভব মহিলার ঘরে পাথর নিক্ষেপ করছো? এর ফলে তারা লজ্জা পেয়ে পালিয়ে যায়।

খাদিজা রাঃ নবীজি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিজের সবটুকু দিয়ে সেবা করতে থাকেন।

ঠিক ঐ সময় মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন জিব্রাইল আঃ এর মাধ্যমে নবীজির কাছে বিবি খাদিজা রাঃ

কে আল্লাহর সালাম ও উত্তম পুরস্কারের সুসংবাদ পৌঁছিয়ে দেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর বিবিকে বলেন,

খাদিজা আল্লাহ্‌ তোমাকে বেহেশতের মধ্যে কারুকার্যখচিত একটি বিরাট অট্রালিকা দিবেন

এবং সেখানে কোন দুঃখ-কষ্টের অস্তিত্ব থাকবে না।

খাদিজা রাঃ অনেক আরাম আয়েশে বড় হয়েছিলেন।

কিন্তু যখন ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য মুসলমানরা অবরোধের স্বীকার হন তখন বিবি খাদিজা রাঃ অনেক অনেক কষ্ট স্বীকার করেছিলেন হাসিমুখে।

নিজের সব ধনসম্পদ বিলিয়ে দিয়েছিলেন ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য।

কিন্তু কখনো তিনি তাঁর কষ্ট প্রকাশ করেন নাই। ইসলামের জন্য তাঁর প্রিয় স্বামী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জন্য সব কিছু তিনি সহ্য করেছিলেন।

শোয়াবে আবু তালিব নামক উপত্যকায় অবরুদ্ধ থাকার কারনে তিনি অনেক অসুস্থ হয়ে পরেন।

বিবি খাদিজা রাঃ স্বাস্থ্য সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় এবং তিনি মৃত্যুর দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান।

মৃত্যুর সময় খাদিজা রাঃ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন,
“হে রাসূল আমি আপনার সব অধিকার পরিপূর্ণ ভাবে রক্ষা করতে পারিনি, আমাকে ক্ষমা করে দিন।”

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রথম স্ত্রী হযরত খাদিজা (রাঃ) ৬১৭ খ্রিস্টাব্দের ১০ই রমজান ৬৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন

Our Sections

Explore our Fitness section and gain valuable insights to support your wellness journey.
Check out our Health section for essential information on maintaining a balanced lifestyle.
Discover our Beauty Skincare section for expert tips and advice to enhance your skincare routine.
Visit our Nutrition section for guidance on improving your diet and overall health.
Dive into our Lifestyle section for articles that enrich your daily life.
Explore our Pregnancy section for support and information during this special time.
Browse our Resources section for a variety of helpful articles.
Don’t forget to visit and subscribe to our YouTube channel for more content and updates!


Continue Reading

Resources

টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবেছিল 100 Percent Easy Way to Understand


টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবেছিল আসল কারন

টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবেছিল – টাইটানিক মুভির কারণে পুরো পৃথিবী, টাইটানিক জাহাজের সাথে পরিচিত। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ হিসেবে শুরু হয় টাইটানিকের যাত্রা টাইটানিক তৈরি করার পর এর নির্মাতারা একে আনসিঙ্কেবল হিসেবে দাবি করে। কিন্তু তাঁদের এই অহংকারকে ধুলিতসাত করে দিয়ে টাইটানিক জাহাজ ১৯১২ সালে তার প্রথম যাত্রাতেই বরফের পাহাড়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে প্রায় ২০০০ যাত্রী নিয়ে আটলান্টিক সাগরে ডুবে গিয়েছিল।

টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবেছিল  তার VIDEO

কেন কিভাবে টাইটানিক জাহাজটিকে নিয়ে এত জল্পনা কল্পনা

এই ঘটনাটি পুরো পৃথিবীতে এক বিস্ময়ের সৃষ্টি করে। শুরু হয় এর ডুবে যাওয়া নিয়ে জল্পনা কল্পনা আর গবেষণা। প্রকাশিত হয় অসংখ্য খবর আর বেশ কিছু বই। আর এসব থেকেই বেড়িয়ে আসে বিস্ময়কর কিছু তথ্য। টাইটানিক জাহাজটি নির্মাণ করে বিখ্যাত জাহাজ নির্মাতা কোম্পানি ওসেন লাইনার। টাইটানিকের সাথে আরও দুইটি জাহাজ নির্মাণ করা হয় এবং এই তিনটি জাহাজকে একত্রে বলা হত অলিম্পিক ক্লাস লাইনারস। যাত্রা শুরুর আগে টাইনাটিক জাহাজে আগুন লেগে যায়। এতে জাহাজটির মুল কাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এবং এর ভিত দুর্বল হয়ে যায় ফলে জাহাজটি সেই বরফের ধাক্কায় অতি সহজেই ডুবে যায়।

টাইটানিক জাহাজ আসলে ডুবে নাই!

একদল মনে করে সেই রাতে যেই জাহাজটি ডুবে গিয়েছিল সেটা টাইটানিকই ছিল না সেটা ছিল তার সিস্টার শিপ অলিম্পিক যেটাকে টাইটানিকের সাথে বদলে দেওয়া হয়। বলা হয় অলিম্পিক আগে আরও দুবার বড় দুর্ঘটনার কবলে পরে। আর এতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।  আর এই ক্ষতি পোষানোর জন্য তারা ইচ্ছে করে এই দুর্ঘটনা ঘটায়।

ধারনা করা হয় সত্যিকারের টাইটানিক অলিম্পিকের ছদ্মনামে চলতে থাকে। আর আসল অলিম্পিকটাই সমুদ্রের তলায় রয়েছে এবং এই তথ্যগুলো রবিন গার্ডিনারের বই টাইটানিক দ্যা শিপ দেট নেভার সাঙ্ক এতে বিশদভাবে দেওয়া আছে।

টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবেছিল তার আসল কারন

অন্য আর এক থিউরি অনুযায়ী টাইটানিকে কোন বরফের পাহারে ধাক্কাই লাগেনি।

বরং জার্মান সাবমেরিন থেকে ছোড়া একটি টড়পেডোর আঘাতে জাহাজটি ডুবে যায়।

আর দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীরাও জানায় তারা একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে।

আরও পড়ুন

আর দূরে একটি সার্চলাইটের আলো দেখতে পায়। উদ্ধারকারী জাহাজ আসার অনেক আগে।

আনসিঙ্কেবল এই জাহাজ ডুবে যাওয়ার আরেকটি বহুল প্রচলিত কারন হিসেবে বলা হয়

মিশরের অভিশপ্ত মমি আমুন রা এর কথা।

খৃষ্টপূর্ব ১৫০০ বছর আগের এই অভিশপ্ত মমিটি খুজে পাওয়ার পর থেকে যাদের হাতে

এই মমিটি গেছে তাঁদের সবাই কোন না কোন দুর্ঘটনার কবলে পরেছে।

টাইটানিক জাহাজ কবে এবং কেন ডুবেছিল

কারো মৃত্যু হয়েছে, নয়তো চিরজীবনের জন্য হারিয়ে গেছে অথবা দেউলিয়া হয়ে গেছে।

এই অভিশপ্ত মমিটিই নাকি বহন করা হচ্ছিল টাইটানিক জাহাজে।

আর যাত্রা শুরুর ৪ দিনের মাথাই ডুবে যায় জাহাজটি।

আর একটি অবাক করা বিষয় হল ১৮৮৬ সালের একটি গল্প সেসময় এক ব্রিটিশ লেখক উইলিয়াম টি স্টেপ

একটি ছোট গল্প লিখেন যার নাম দেন হাউ দ্যা আটলান্টিক মেইল স্টিমার অয়েন্ট ডাউন বিস্ময়কর ব্যাপার হল।

এই বইয়ে জাহাজ ডোবার যেই বর্ণনা দেওয়া হয় তার সাথে সত্যিকার টাইটানিক জাহাজ ডোবার ঘটনা হুবহু মিলে যায়।

বাস্তবতা মাঝে মাঝে কল্পনাকেও হাড় মানায়।

আর সেই জন্যই টাইটানিক ডুবে যাওয়ার এত বছর পরেও এ ঘটনা মানুষের মনে সৃষ্টি করে বিস্ময়,

উত্তেজনা আর আগ্রহ। ভাবার বিষয় এটাই যে টাইটানিক ডুবে যাওয়ার কারন কি এগুলো

নাকি এর পেছনে রয়েছে এর থেকেও বিস্ময়কর কোন কারন যা মানুষের কল্পনাকেও হার মানাবে।

Our Sections

Explore our Fitness section and gain valuable insights to support your wellness journey.
Check out our Health section for essential information on maintaining a balanced lifestyle.
Discover our Beauty Skincare section for expert tips and advice to enhance your skincare routine.
Visit our Nutrition section for guidance on improving your diet and overall health.
Dive into our Lifestyle section for articles that enrich your daily life.
Explore our Pregnancy section for support and information during this special time.
Browse our Resources section for a variety of helpful articles.
Don’t forget to visit and subscribe to our YouTube channel for more content and updates!


Continue Reading