আসুন আজ জেনে নেই মাউন্ট এভারেস্ট সম্পর্কে ১০ টি অজানা তথ্য। খুব সম্ভবত এই তথ্যগুলো আজই আপনি প্রথম জেনে থাকবেন __
১. মাউন্ট এভারেস্টের কিন্তু শুধু একটিই নাম নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই এভারেস্টকে বিভিন্ন নামে ডেকে থাকে।
নেপাল এই এভারেস্টকে ‘সাগর মাথা’ বা গডেস অফ দ্য স্কাই নামে ডেকে থাকে।
‘চোমোলুংমা’ বা মাদার গডেস অফ দ্য ইউনিভার্স নামে ডেকে থাকেন তিব্বতিরা।
২. কেন্টন কুল নামে এক পর্বতারোহী ২০১১ সালে এভারেস্টের চুড়া থেকে প্রথমবার টুটারে টুইট করেছিলেন।
৩. গুগল তাঁর google map এ মাউন্ট এভারেস্টের সম্পূর্ণ ছবি দেওয়ার জন্য তাদের একটি দলকে ১২ দিন ধরে ছবি তুলিয়েছিল।
৪. ‘মাউন্টেন স্পাইডার’, হ্যা এভারেস্টে চড়তে হলে এই স্পাইডারদের মুখোমুখি আপনাকে হতেই হবে।
হিমালয়ের শৃঙ্গে চড়তে গেলে কোনোভাবেই আপনি এদের এড়িয়ে যেতে পারবেন না। এই মাউন্ট স্পাইডারদের ৬৭০০ মিটার ওপরেও দেখতে পাওয়া যায়।
৫. ব্রিটিশ নাগরিক অ্যান্ড্রু ওয়া ১৮৮৭ সালে মাউন্ট এভারেস্টের নাম দিয়েছিলেন।
৬. মাউন্ট এভারেস্টের ৮০০০ মিটার উপরকে ‘ডেথ জোন’ বলা হয়ে থাকে। কারন, ৮০০০ মিটার উপরে পর্বতারোহীরা পাহাড়ের এক অজানা অসুস্থতায় পড়েন। এমনকি তারা দিক নির্দেশনাও হারিয়ে ফেলেন। আর অক্সিজেনের অভাবতো আছেই। যার ফলে অনেক পর্বতারোহীর মৃত্যুও ঘটে।
৭. আপনি চাইলেই ফ্রিতে মাউন্ট এভারেস্টে চড়তে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে প্রায় ৩০ হাজার ডলার গুনতে হবে।
৮. আপনি শুনলে অবাক হয়ে যাবেন মাউন্ট এভারেস্টকে বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা এভারেস্ট বলা হয়ে থাকে।
কারন, মাউন্ট এভারেস্টে প্রচুর বিয়ারের ক্যান থেকে শুরু করে অক্সিজেনের ভারি ভারি বোতল দেখতে পাওয়া যায়।
যা গুনে শেষ করা যাবে না। তাই এটি বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা পর্বত।
৯. একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতি ১০ পর্বতারোহীর ১ জন পর্বতে চড়তে গিয়ে মারা যায়।
১০. বিশ্বের প্রায় সব দেশের মানুষই মাউন্ট এভারেস্টে চড়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সফল হননি।