হযরত খাদিজা (রাঃ) এবং ইসলাম

প্রিয় পাঠকরা অনলাইনে হযরত খাদিজা (রাঃ) সম্পর্কে জানতে যেসব লিখে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিয়ে থাকেন তা নিচে দেওয়া হলঃ 

হযরত খাদিজা (রাঃ) এবং ইসলামঃ, খাদিজা রাঃ এর জীবনী, হযরত খাদিজা রাঃ এর জীবনী, হযরত খাদিজা রাঃ এর জীবনী রচনা, মা খাদিজার জীবনী,
মা খাদিজার জীবন কাহিনী, মা খাদিজা রাঃ এর জীবনী, খাদিজার জীবনী, খাদিজা রাঃ এর জীবনী pdf, হযরত খাদিজা রাঃ এর পরিচয়, বিবি খাদিজার জীবনী,
খাদিজার কাহিনী, khadija radi allahu anhu story bangla, বিবি খাদিজা জীবনী, খাদিজা, hazrat khadija jiboni bangla, ma khadijar jiboni kahini, হযরত খাদিজা, মা খাদিজা, বিবি খাদিজা, খাদিজাতুল কুবরা জীবনী, খাদিজার মৃত্যুর ঘটনা, হযরত খাদিজা রাঃ এর মৃত্যু, হযরত খাদিজা (রাঃ) এবং ইসলাম

হযরত খাদিজা (রাঃ) এবং ইসলামে তার অবদান

হযরত খাদিজা (রাঃ) এবং ইসলামঃ বিবি খাদিজা (রাঃ) এর সার্বিক জীবন আলোচনা করলে মূলত আমারা দেখতে পাই যে,

আল্লাহর ধর্ম ইসলাম এই দুনিয়ায় কায়েমে তিনি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং অপরিসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন।

আল্লাহ্‌র ধর্ম তার ব্যক্তিগত জীবনে পালন এবং তা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অপরিসীম।

সর্ব শেষ নবীর (সাঃ) প্রতি তার আনুগত্য, তাকে বিপদে আপদে সাহস দেওয়া এবং একজন স্ত্রী হিসেবে তিনি ছিলেন অতুলনীয়,

যা আমাদের বর্তমান মা বোনদের জন্য আদর্শ হয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন

  1. বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া
  2. সালাম ফেরানোর আগে যে দোয়া পড়লে গোনাহ মাফ হয়
  3. বিভিন্ন নফল নামাজ ও নফল নামাজের ফজিলত
  4. মনের আশা পূরণ হওয়ার দোয়া

খাদিজা (রাঃ) বিয়ে

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সাথে বিয়ে হওয়ার পরে তিনি তার যত ধন সম্পদ ছিল সব কিছু ইসলামের জন্য দান করেছিলেন এবং

আমাদের নবীজির নবুয়াতের পর তথা ইসলাম গ্রহণের পর নিজেকে আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দিয়েছিলেন।

হযরত খাদিজা (রাঃ)

হযরত মুহাম্মদ সাঃ যখন নবুয়াত লাভ করেন, তখন বিবি খাদিজা রাঃ ছিলেন প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারি ব্যক্তি পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে।

ইসলাম গ্রহণের পর হযরত খাদিজা রাঃ সাথে আমাদের প্রিয় নবীর জীবন আনন্দের সাথে কাটতে থাকে।

কিন্তু নিবিজি সাঃ কে আল্লাহ্‌ পাঠিয়েছেন, আল্লাহর বান্দাদের পথ দেখানোর জন্য তার দ্বারা কি আর আরাম আয়েশে জীবন কাটান সম্ভব,

তাই তিনি দিন প্রচারে বের হয়ে গেলেন এবং মা খাদিজা রাঃ তাকে সর্বাত্মক ভাবে সাহায্য করতে লাগলেন।

রাসূলুল্লাহর (সাঃ) পঁয়ত্রিশ বছর বয়স থেকে শুরু হয় তাঁর মধ্যে এক গভীর আধ্যাত্মিক ভাবান্তরের।

রাসুলুল্লাহ সাঃ তাঁর ৩৫ বছর বয়সেই শুরু করেন গভীর ধ্যান। তিনি মক্কা থেকে হেরা নামক এক পাহাড়ের গুহায়

শুরু করেন সেই সাধনা, এই পৃথিবীর সত্য জানার জন্য। তখন থেকেই খাদিজা রাঃ উনার সব কাজে সহযোগিতা করতেন।

নবীজি সাঃ মাঝে মাঝে টানা তিন দিন ও ধ্যানে থাকতেন পরে নিজ বাড়িতে আসতেন।

আবার প্রয়োজনীয় খাবার পানি নিয়ে চলে যেতেন হেরা গুহায়। মাঝে মাঝে খাজিদা রাঃ ও প্রয়োজনীয় খাবার পানি দিয়ে আসতেন।

মোট কথা নবী করীম সাঃ এর ধ্যান করা থেকে শুরু করে ইসলাম আল্লাহর তরফ থেকে আশা পর্যন্ত মা খাদিজা রাঃ ছিলেন ইসলামের প্রথম

দিকের সর্বাত্মক সহযোগী। এবং হযরত খাদিজা রাঃ ইসলাম আল্লাহর তরফ থেকে মনোনীত ধর্ম হওয়ার পর থেকেই ছিলেন

এর প্রথম ইসলাম গ্রহণ কারি এবং ইসলামের সেবক।

ইসলাম ধর্মে বিবি খাদিজা (রাঃ) ছিলেন অত্যন্ত ধৈর্যশীল একজন নারী

রাসুল সাঃ যখন হেরাগুহায় ধ্যানে থাকতেন, তখন খাদিজা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন এক সত্য অবশ্যই আসবে।

তাই তিনি সর্বাত্মক ভাবে নবীজি সাঃ কে ধৈর্য সহকারে সাহায্য সহযোগিতা করতেন। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই আল্লাহর তরফ থেকে হযরত মুহাম্মাদ

সাঃ কাছে সূরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াত নাজিল হল। এতে নবীজি ভিত সন্ত্রস্ত হলে বিবি খাজিদা রাঃ পরম মমতায় তাকে সান্তনা দিলেন

এবং সাহস যোগালেন। এবং বললেন আপনি কারো হক মেরে খান না, আপনি মানুষকে কখন কষ্ট দেন না। আপনার আল্লাহ্‌ আপনাকে নবী হিসেবে

মনোনীত করেছেন বলে আমার বিশ্বাস। এই বলে তিনি রাসুল সাঃ কে সাহস দিলেন।

আরও পড়ুন

খাদিজা (রাঃ) প্রথম মুসলিম

নবীজি সাঃ উপর আল্লাহর কোরআন নাজিল হওয়ায় তিনি অনেক ভিত হলেন। তাই খাজিদা রাঃ ওয়ারাকা ইবনে নওফেলের

কাছে গেলেন এবং তাকে সব কিছু খুলে বললেন। ওয়ারাকা ইবনে নওফেল ছিলেন ইঞ্জিল এবং তাওরাত বিশেষজ্ঞ। সব কিছু শুনে ওয়ারাকা বললেন, এই

হচ্ছে সেই ফেরেশতা যিনি পূর্বের সব নবী রাসুলের কাছে এসেছিলেন। এই ফেরেশতার নাম হচ্ছে জিব্রাইল আঃ। হে খাদিজা, তুমি বিশ্বাস কর এই সেই ফেরেশতা

যিনি মুসার কাছে আল্লাহর তরফ থেকে আসতেন। মূলত হচ্ছে মুহাম্মাদ সাঃ আল্লাহর তরফ থেকে নবী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।

খাদিজা তুমি মুহাম্মদ সাঃ বলবে যেন তিনি এই সত্যের উপর অবিচল থাকেন।

সব কিছু শুনে বিবি খাদিজা রাঃ গৃহে আসলেন এবং নবীজির সাঃ কাছে এসে সব কিছু খুলে বললেন, এবং তখনই তিনি

নবীজি সাঃ কে আল্লাহর মনোনীত নবী এবং এক আল্লাহর প্রতি ইমান আনলেন। এভাবেই খাজিদা রাঃ হয়ে গেলেন প্রথম ইসলাম

ধর্ম গ্রহণকারি। খাজিদা রাঃ ছিলেন নারী এবং পুরুষের মধ্যে প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ কারি মুসলিম।

খাদিজা (রাঃ) ছিলেন রাসূলুল্লাহর (সাঃ) একমাত্র সান্ত্বনা দানকারী

হযরত মুহাম্মদ সাঃ যখন সত্য প্রচারে বের হলেন তখন মক্কার বিভিন্ন গোত্র থেকে তাঁর উপর নেমে আসল অমানুষিক নির্যাতন।

তখন বিবি খাদিজা রাঃ রাসুল সাঃ সাহস এবং সান্তনা দিতেন। ইসলাম প্রচারের শুরুর দিকে যে পরিমাণ কষ্ট আমাদের নবীজি সাঃ

করেছেন তাঁর কোন শেষ নেই। সেই সময় রাসুল সাঃ এর একমাত্র সান্তনাদান করি ছিলেন নবীজির প্রথম স্ত্রী খাদিজা রাঃ।

রাসুল সাঃ ইসলাম প্রচারের কাজে বের হয়ে যখন আঘাত এবং কষ্ট পেতেন, তখন তিনি বিবি খাদিজা রাঃ কাছে আসলে নিবিজির সব

কষ্ট দূর হয়ে যেত।

খাদিজা (রাঃ) ধনসম্পত্তি ইসলামের  খেদমতে বিলিয়ে দিয়েছিলেন

খাদিজা রাঃ সব সময় নবীজি সাঃ কে বলতেন আপনি কষ্ট পাবেন না। কারন আপনি আল্লাহর মনোনীত বান্দা এবং রাসুল।

তাই আপনাকে মানুষের দেওয়া কষ্টগুলোকে হালকাভাবে নিতে হবে। কারন তারা বুঝে না। মোট কথা হচ্ছে খাজিদা রাঃ রাসুল সাঃ কাছে ছিলেন

আস্থার এক চূড়ান্ত জায়গা। নবীজি সাঃ কখনো চিন্তিত থাকলে তাঁর প্রভাব আমাদের খাদিজা রাঃ উপর ও পরত। কারন তিনিই প্রথম

আল্লাহর তরফ থেকে মনোনীত রাসুলের আসল রুপ ও সৌন্দর্য দেখেছিলেন এবং অন্তর থেকে অনুভব  করেছিলেন।

খাদিজা রাঃ তাঁর জীবনের সমস্ত সম্পদ ইসলাম প্রচারের কাজে নিবিজির সাথে সমর্পণ করেছিলেন। কখনো এই সম্পদের

হিসাব তিনি তাঁর কাছ থেকে নিতেন না বা তাকে তাঁর সম্পদ নিয়ে কোন কথা বলতেন না।

হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন স্নেহ বৎসল জননী

খাদিজা রাঃ ছিলেন, একজন স্নেহমাখা স্ত্রী, ঘরের কাজে মনযোগী, দরিদ্র মানুষের সাহায্য কারি, এতিম , বিধবা এবং দুস্থ মানুষের সহায়ক।

একদিন তিনি রাসুল সাঃ কে একটি কাঠের উপর বসিয়ে গোছল করাচ্ছিলেন তখন খাদিজা রাঃ এর একটি  পায়ের আঙ্গুল সেই কাঠের নিচে

পরে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল ।

এবং তা নবীজির গোছলের পানির সাথে মিশে গিয়েছিল। কিন্তু তিনি তখন বিন্দু পরিমাণ আওয়াজ করেন নাই,

কারণ এতে নবীজির গোছলের ব্যাঘাত হতে পারে। ইসলামের প্রতি খাদিজা রাঃ ত্যাগ ছিল অপরিসীম যা আমাদের সমাজের প্রত্যকে

মা বোনের সাথে শিক্ষণীয়।

লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

আরও পড়ুনঃ

কোন কিছুর জানার থাকলে বা লেখা
পাঠাতে চাইলে
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে
জয়েন করুন
 Telegram Group

Share the article with your friends, and contact us on our Facebook page.

Click on Google News and get the top authenthic articles.
We did not provide any fake news.
So stay with us and visit our website : www.girlsworld24.com and do not forget to follow us on social media. We hope you all stay with Girls World 24 and visit our website daily.

Follow our social platforms because the latest articles are shared there.
  1. Twitter 
  2. Facebook

We take great pains to publish our writing. And another thing: please, everyone, don’t copy our writings because it hurts us. And if you like our articles, copy the article’s link  for sharing on your social platform. So, it may be like Facebook, Twitter, WhatsApp, or other social platforms.

We hope you will encourage us to publish articles regularly. By encouraging us both, we will benefit.


Our Sections

  1. Visit our Entertainment section. There are many articles in this section to help you, and surely you will benefit. So, click on the link, go to the Entertainment section, and keep reading the articles. But a request: if any article helps you, try to share it with your friends and family. And we have a YouTube channel. So, we need your help to get this channel up and running. So, please subscribe.
  2. Visit our Fashion section. There are many articles in this section to help you, and surely you will benefit. So, click on the link, go to the Fashion section, and keep reading the articles. But a request: if any article helps you, try to share it with your friends and family. And we have a YouTube channel. So, we need your help to get this channel up and running. So, please subscribe.
  3. Visit our Health section. There are many articles in this section to help you, and surely you will benefit. So, click on the link, go to the Health section, and keep reading the articles. But a request: if any article helps you, try to share it with your friends and family. And we have a YouTube channel. So, we need your help to get this channel up and running. So, please subscribe.
  4. Visit our Lifestyle section. There are many articles in this section to help you, and surely you will benefit. So, click on the link, go to the Lifestyle section, and keep reading the articles. But a request: if any article helps you, try to share it with your friends and family. And we have a YouTube channel. So, we need your help to get this channel up and running. So, please subscribe.
  5. Visit our Biography section. There are many articles in this section to help you, and surely you will benefit. So, click on the link, go to the Biography section, and keep reading the articles. But a request: if any article helps you, try to share it with your friends and family. And we have a YouTube channel. So, we need your help to get this channel up and running. So, please subscribe.
  6. Visit our Religion section. There are many articles in this section to help you, and surely you will benefit. So, click on the link, go to the Religion section, and keep reading the articles. But a request: if any article helps you, try to share it with your friends and family. And we have a YouTube channel. So, we need your help to get this channel up and running. So, please subscribe.
  7. Visit our News section. There are many articles in this section to help you, and surely you will benefit. So, click on the link, go to the News section, and keep reading the articles. But a request: if any article helps you, try to share it with your friends and family. And we have a YouTube channel. So, we need your help to get this channel up and running. So, please subscribe.