নারী নিয়ে উক্তি | একজন নারীর স্বপ্ন লঙ্ঘনের পিছনে কে দায়ী?
নারী নিয়ে উক্তি – সবার জীবনে একজন সঙ্গি লাগে। অর্ধাঙ্গী কথাটা কিন্তু বহুল প্রচলিত আর তার সাথে রয়েছে বাকিজীবনের সুখের নকশা আঁকার একটি আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু এইযে স্বপ্নের যে জাল বুনার একটি অবিরাম চেষ্টা। সেটার পিছনে তো নর আর নারীর দুজনেরই রয়েছে অনিবার্য ভূমিকা যা কিনা অস্বীকার করবার উপায় নেই। আমাদের কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, “কোন কালে একা হয়নি জয়ী পুরুষের তরবারি , প্রেরণা দিয়াছে , শক্তি দিয়াছে বিজয় -লক্ষ্মি নারী।” তাই নারীর ভূমিকা রয়েছে সব পুরুষদের সাফল্যর পিছনে। আচ্ছা যারা পুরুষ তারা তো আমাদের ঘরে তুলে নিবে কিন্তু আমাদের কোন ধরনের পুরুষ পছন্দ সেটা তো ভাবা দরকার। আর আমাদেরও অধিকার আছে আমাদের মনের মত করে সুযোগ্য বরটা পছন্দ করবার।
পিথাগোরাসের একটি নারী নিয়ে উক্তি
পিথাগোরাসের একটি উক্তি কিন্তু পুরুষের মনে আমাদের সম্পর্কে একটি অশুভ ধরানার জন্ম দিবে তো শুনি সেই উক্তি, “মেয়েদের চোঁখে দুই রকমের অশ্রু থাকে, একটি দুঃখের অপরটি ছলনার”। তো আমাদের অশ্রু বিসর্জন যদি তাদের কাছে মনে হয় ছলনার যদিও দুঃখের কথা বলেছে যেটা কিনা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত আরকি। আসলেইতো যুগের পর যুগ ধরে আমরা তো ওই মাংসপিণ্ডের মত তাদের চোখে আবির্ভূত হয়ে এসেছি তো সেটা তো আর পাল্টে যাচ্ছে না! হুমায়ূন আজাদ তো বলেছেন, “অধিকাংশ রূপসীর হাসির শোভা তাদের মাংশপেশির কর্তৃত্ব, হৃদয়ের কর্তৃত্বে নয়।” আমরা আসলে ওই ভোগের একটি জায়গাতেই আছি মানুষরূপে এই বিংশ শতাব্দীতেও কি জায়গা পেয়েছি! উত্তর কিন্তু না হবারই কথা।
- খাদিজা (রাঃ) নবীজি হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর প্রথম স্ত্রী
- বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া | কঠিন বিপদ থেকে বাঁচতে ৭০টি কার্যকরী দোয়া
- সালাম ফেরানোর আগে যে দোয়া পড়লে গোনাহ মাফ হয়
বেগম রোকেয়া আমাদের জাগরণের জন্য
বেগম রোকেয়া আমাদের জাগরণের জন্য তার প্রতিটি লেখায় আমাদের পঙ্গুত্ব আর সামাজিক বিদিনিষেধের কথা খুব ফলাও করে তুলে ধরেছেন আর তার পিছনে যে আমরাই দায়ী সেটাও তিনি লাল কালিতে দাগিয়ে দিয়েছন। হয়ত আজ ওই আমাদের মা কিংবা দাদিদের মত পুরুষের নির্যাতন কিংবা ঘরে আটকানো গৃহপালিত পশুর মত নই আমরা স্কুল, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছি সাথে আমাদের পদার্পণ হচ্ছে কর্মজীবনে। আমরা একটি পরিচয়ে আগাচ্ছি কিন্তু একটু ভেবে দেখবে কি? আমরা কি আসলেই নিজেরা নিজেদের অধিকার পাচ্ছি না এইসব মরীচিকার মত আমাদের দৃষ্টিভ্রম করে সেই পুরুষরাই আমাদের নিয়ে ফায়দা লুটছে।
শিক্ষা জীবনে আমরা ঠিকই আগের থেকে সংখ্যায় বেশি অংশগ্রহণ করি কিন্তু কক্ষনো হিসেব করেছি শেষ পর্যন্ত কতজন টিকে থাকছি! পারিবারিক চাপ তো আছেই সাথে বাবা মায়ের বিয়ে দেবার একটি হুমকি এক্ষণও থাকে।
সাথে ইভটিজিং তো যুক্ত হয়ে একের ভিতর ছয় রুপে আমাদের উপর মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আছে! উচ্চ শিক্ষা সেটা করাটা সবার ভাগ্যে সব সময় জুটে না।
পারিবারিক রক্তচক্ষু উপেক্ষা
আর জারা ওই টেনেটুনে করে পারিবারিক রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কিছু আর করে হয়ে উঠা হয় না আর ব্যাবসা করবার চিন্তা তা মূলধনটা পাবে কই আর পেলেও এই প্রতিযোগিতার বাজারে সব সামলে টিকতে পারবেতো। আর যারা ভাগ্যের গুণে চাকরীটা করছে তাদের কিন্তু ওই বাসায় ফিরে হাঁড়িটা উনুনে দিতে হবেই। সাথে বাচ্চা কাচ্চাদের পড়ালেখা আর সংসারের যাবতীয় কাজ আর তার উনিশ থেকে বিশ হলেই কথার ফুলঝুড়ি ছুটে।
আজ একজন পুরুষ যদি খারাপ হয় তবে আমাদের দোষেই কিন্তু হয়! আমাদের আস্কারা পেয়ে নাকি তারা আজ এই অপকর্ম করে হক তা ধর্ষণ সেটা কিনতু ওই মায়ের আর স্ত্রীর উপর পরে কারণ তাদের ব্যাথতা। রেদয়ান মাসুদ তো বলেই দিয়েছেন, ” নারীর হৃদয় হলো এমন একটা জায়গা , যেখানে গেলে সকল পুরুষ নিজেকে হারিয়ে ফেলে।” আর পুবের কথায় আসি আসলেই কি আমাদের ইচ্ছার দাম আছে যে বর পছন্দ মত বেছে নিব! আমি পছন্দ করি কিন্তু ওই বাবা মা বা ভাই অথবা বড় বোন তো মেনে নিবে না।
পালিয়ে যাব তাহলে ওই আমার পরিবার আমাকেই গ্রহন করবে না। আর বিচ্ছেদ হলে তাহলে আমার অবস্থান ওই রাস্তার চারপেয়ে জন্তুর থেকেও খারাপ। তাই আমরা অনেকেই গলায় দড়িটাই দেই! আর আমাদের উপর যে ঝুলুম চলে স্বামী বা ওই শ্বশুর বাড়ির থেকে সেটা হয় সইতে পারি না হয় বলতে পারি। আমাদের মুখত কুলুপ দিয়ে আঁটা।
সব শেষে
সব শেষে ওই একটা কথা আমাদের এই ভয়াবহ অবস্থার জন্য আমরাই দায়ি ওই পুরুষের থেকে!আজকে আমাকে দেখে নাক সিটকায়, ভৎসনা দেয় আমার মা, শাশুড়ি, আমার বোন, আমার বান্ধবী, পাশের বাসার আন্টি বা মেয়েরাই।
পুরুষশাসিত সমাজে আমরা বঞ্চিত আর আমাদের যে জাগরণ হবে সেটা কীভাবে? আমরাই নিজেরাই ত গুঁটিয়ে যাই আর দু একজন যারা আগ বাড়িয়ে যায় তারা অসভ্য,
বেহায়া বলে আমারি আগে গালি দেই। আজ নারীবাদী লিখা পুরুষ লিখে আমরা কলম ধরে লিখতেও পারি না। আর যদিওবা লিখি তাহলে সমালোচনার প্রথম কাতারে ওই একজন নারী। আসলে একজন সাঁতার না জানলে অজাআনা লোক আনতে যাবে উদ্ধার করতে। কিন্তু যেয়ে যদি দেখে যে নদীতে সাঁতার না জানা লোকে ভরপুর তাহলে ওই তারাই ওই সাতারুকে টেনে ওই নদীর গভীরে নিয়ে যাবে। আসলে আমরা ডানা ঝাপটিয়ে উড়তে চাই না ভুলেই যাই যে ডানা আছে।
লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুনঃ girlsworld24com@gmail.com
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করুন কি চান সব দেওয়া হবেঃ Telegram Group
Our social sites:
আশা করি আপনারা সবাই GIRLSWORLD24 এর সাথে সবসময় থাকবেন।
এছাড়াও আমাদের হেলথ সেকশনেও ঘুরে আসতে পারেন। ভালো থাকবেন।
পৃথিবীর জানা অজানা তথ্য ও রহস্য | Prithibir Jana Ojana Bangla News Tottho Rohosso