জুমার দিন দোয়া কবুলের সময়
ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী মানুষরা মনে করেন আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে আল্লাহ তা পুরন করেন।
মানুষের জীবনের চাহিদার শেষ নেই, তারা মনে করেন আল্লাহ তাদের সকল চাহিদা পুরন করে দেন।
তাই সব মুসলিমেরই আকাংখা তাঁর কথাগুলো যেন আল্লাহ কবুল করে নিক। তাঁর করা দোয়া যেন মহান আল্লাহ কবুল করুক।
ইসলাম ধর্মে জুমার দিন হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ। কারন এই দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে আল্লাহ তাঁর বান্দার করা দোয়া ফিরিয়ে দেন না।
- খাদিজা (রাঃ) নবীজি হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর প্রথম স্ত্রী
- বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া | কঠিন বিপদ থেকে বাঁচতে ৭০টি কার্যকরী দোয়া
- সালাম ফেরানোর আগে যে দোয়া পড়লে গোনাহ মাফ হয়
হাদিসে বিভিন্ন সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জুমার দিনে কখন দোয়া কবুল হয় এটা নিয়ে আলেমগনদের মধ্যে বিভেদ আছে।
কিন্তু জুমার দিনে দোয়া কবুল হয়, এটা নিয়ে কারো বিভেদ নেই।
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবীজি (সাঃ) এক শুক্রবারে জুমার দিনের ফজিলত নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
তিনি বলেন, “জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়,
আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসুল (সা.) তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।” (বুখারি)
রাসুল (সাঃ) আরোও বলেন, “ইমামের মিম্বরে বসার সময় থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত সময়টিই সেই বিশেষ মুহূর্ত।” (মুসলিম, মিশকাত)
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, জুমার দিনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে একটা সময় আল্লাহ দুয়া কবুল করেন
সুতরাং তোমরা আছরের নামাজের শেষে সেই সময়টা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস নং : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস নং : ১৩৮৯)
আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বর্ণনা করেন, শুক্রবারে আছরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়।
পরিশেষে বলা যায়, জুমার দিনে আল্লাহ তাঁর বান্দার দোয়া কবুল করে থাকেন একটি নির্দিষ্ট সময়ে।
দোয়া কবুল হওয়ার আরোও কিছু সময়ঃ
১. জুমার দুই রাকাত নামাজে সুরা ফাতিহা শেষ হলে আমিল বলার সময়।
২. আছর নামাজ থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
৩. মুয়াজ্জিন যখন জুমার নামাজের জন্য আযান দেন।
৪. সূর্য পূর্ব আকাশে ঢলে পরবে ওই সময়।
৫. ইমাম যখন খুতবা দেওয়ার জন্য মিম্বারে দাড়ায়।
৬. খুতবা দেওয়ার মধ্যবর্তী স্থানে যখন ইমাম কিছু সময়ের জন্য থামেন ওই সময়।
৭. জুমার ফজরের আজানের সময়।
আসল কথা হলো কোন বান্দা যদি খাস দিলে তাঁর করা দোয়া কবুল করাতে চান তিনি যেন জুম্মার পুরো দিনটিকেই বেছে নেন।
দুনিয়াবি সমস্ত কাজকাম ফেলে। জুমার দিন সারাক্ষন ইবাদাত বন্দেগিতে ডুবে থাকা।
Our social sites:
আশা করি আপনারা সবাই GIRLSWORLD24 এর সাথে সবসময় থাকবেন।
এছাড়াও আমাদের হেলথ সেকশনেও ঘুরে আসতে পারেন। ভালো থাকবেন।
পৃথিবীর জানা অজানা তথ্য ও রহস্য | Prithibir Jana Ojana Bangla News Tottho Rohosso