সহবাসের সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি | ইসলাম কি বলে
এক. স্ত্রী সহবাসের সময় যেসব বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত, সংক্ষেপে তা নিম্নে পেশ করা হল-
১. স্ত্রীর সাথে সহবাস করার সময় নিয়ত ঠিক রাখা। অর্থাৎ মুসলিম উম্মার সংখ্যা বৃদ্ধি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে সহবাস।
২. সহবাসের সময় স্ত্রীকে আলিঙ্গন ও চুম্বন করা। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদি করতেন।
৩. স্ত্রীর সাথে সহবাস করার সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করা, ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! আমাদেরকে তুমি শয়তান থেকে দূরে রাখ এবং আমাদেরকে তুমি যা দান করবে (মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে) তা থেকে শয়তানকে দূরে রাখ।’ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, এরপরে যদি তাদের দু’জনের মাঝে কিছু ফল দেয়া হয় অথবা বাচ্চা পয়দা হয়, তাকে শয়তান কখনো ক্ষতি করতে পারবে না। (বুখারী ৪৭৮৭)
৪. স্ত্রীর সাথে যেকোন আসনেই সঙ্গম করা যায়। অর্থাৎ দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায়, সামনের দিক থেকে এবং পিছনের দিক থেকে (সঙ্গম করতে পারো, তবে তা হতে হবে) স্ত্রীর যোনিপথে।
৫. স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যেমন সোয়াবের কাজ। আল্লাহ এতে অনেক খুশি হন। কিন্তু মলদ্বার দিয়ে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা হারাম। নবিজি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করে, আল্লাহ্ তার দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকান না।”
৬. স্ত্রীর যখন পিরিয়ড চলে তখন সহবাস করা ইসলামে হারাম। নবিজি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যাক্তি ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস করলো অথবা স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করলো অথবা গণকের নিকট গেলো এবং সে যা বললো তা বিশ্বাস করলো, সে অবশ্যই মুহাম্মাদ ﷺ -এর উপর নাযিলকৃত জিনিসের (আল্লাহ্র কিতাবের) বিরুদ্ধাচরণ করলো।
৭. স্ত্রীর সাথে দিনে একাধিকবার সঙ্গম করা যায় কিন্তু প্রতিবার সঙ্গমের পূর্বে অজু করে নেওয়া মুস্তাহাব। হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর আবার সহবাস করতে চায় তখন সে যেন এর মাঝখানে ওযু করে নেয়। কেননা, এটি দ্বিতীয়বারের জন্য অধিক প্রশান্তিদায়ক। তবে গোসল করে নেয়া আরো উত্তম।