শিশুর গলায় দুধ আটকে গেলে কি করবেন? বিষয়টি একটু ভীতিজনক। বাচ্চা যখন অতিরিক্ত মায়ের বুকের দুধ মুখে নিয়ে গিলে ফেলার চেষ্টা করে তখন বাচ্চার দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে শিশু অতিরিক্ত কাশে এবং মুখে নেওয়া সম্পূর্ণ বুকের দুধ বমি করে দিতে পারে। তবে এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান থাকলে শিশুকে এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচানো সম্ভব।
কেন বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় বাচ্চার দম বন্ধ হয়ে যায়?
শিশু মায়ের বুকের দুধ পান করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু বুকের দুধ পান করতে গিয়ে অনেক সময় বাচ্চার শ্বাসরোধ হতে পারে। বাচ্চার মায়েরা এতে ভয় পেয়ে যান। কিন্তু এতে ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই। শিশু বুকের দুধ পান করার সময় এমনটা হতেই পারে। সাধারণত দুইটি কারনে এমন হয়ে থাকতে পারে।
১. বুকের দুধ অতিরিক্ত সরবরাহ হলে
অনেক মা মনে করেন বাচ্চাকে বেশি বেশি দুধ পান করানোটা অনেক ভালো কিন্তু এই ধারনাটি একদমই ভুল। এতে শিশুর দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই শিশুকে জোর করে অতিরিক্ত দুধ পান করানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনভাবে দুধ পান করাতে হবে যেন শিশু দুধ পান করতে আরাম পায়।
২. স্তনে বেশি বেশি প্রেস করা
মায়েরা বাচ্চাকে দুধ পান করানোর সময় নিজেরা স্তনে জোরে জোরে চাপ দেন যেন বেশি বেশি দুধ বের হয়। এতে দুধের সরবরাহ বেড়ে যায় এবং বাচ্চা অতিরিক্ত দুধ পান করতে থাকে। কিন্তু এটি মোটেও উচিত নয়, কারন এতে বাচ্চার দুধ গিলতে ও শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এমনকি শিশুর দম আটকেও যেতে পারে।
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় নিচের এই লক্ষণগুলো দেখলে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে ফেলুন –
- দুধ খাওয়ার সময় বাচ্চা যদি হাপানো শুরু করে বা শ্বাস নিতে সমস্যা হয়
- বুকের দুধের সরবরাহ বেশি হলে বাচ্চা নিজেই যদি নিপেলে চাপ বা কামর দেয়
- শিশু যদি দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়
- আপনি দুধ খাওয়াতে চাচ্ছেন কিন্তু বাচ্চা যদি খেতে না চায়
বুকের দুধ পান করার সময় বাচ্চার শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কি করবেন?
দুধ খাওয়ার সময় শিশুর যদি দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা আছে যা শিশুর শ্বাসনালীকে ব্লক হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। এই চিকিৎসা খুবই সাবধানতার সাথে করতে হবে কারন শিশুর শরীর খুবই কোমল। বুকের দুধ পানে দম বন্ধ হয়ে গেলে নিচের দুইটি টিপস প্রয়োগ করুন –
- বাচ্চাকে সোজা করে তাঁর বুকে মালিশ করুন এবং বাচ্চাকে একটু ঝাকান। নাভির উপর হাত রেখে ভিতরের দিকে হালকা করে দ্রুত প্রেস করুন।
- বাচ্চাকে উল্টো করে মানে মাথা নিচের দিকে দিয়ে শিশুর কোমরে হালকা করে চাপ দিন এবং পিঠে হালকা করে আঘাত করুন এবং বুকেও ধাক্কা দিন। শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতি চালিয়ে যান।
যদি এই পদ্ধতির কোনটিই কাজে না লাগে খুব দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
বুকের দুধ কি ঘন ঘন খাওয়ানো ভালো?
ঘন ঘন শিশুকে দুধ পান করানো মোটেও উচিত না এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। আপনার স্তনে যদি দুধের সরবরাহ বেশি হয়ে থাকে তাহলে অতিরিক্ত দুধ বাচ্চাকে না খাওয়ানোই ভালো। আপনার স্তনের প্রয়োজনের অতিরিক্ত দুধ বের করে দিতে পারেন।
আপনার শিশুর যতটুকু দুধ প্রয়োজন সে ততটুকুই খাবে।
অতিরিক্ত দুধ জোর করে ঘন ঘন খাওয়াবেন না।
নিচের লক্ষণগুলো থেকে দেখে দিন আপনার শিশুর ক্ষুদা লেগেছে কিনা –
- আপনার বাবুর খুদা লাগলে সেই আপনার স্তন খোঁজা শুরু করবে
- আপানর বাচ্চা বার বার দুধ চোষার মত করে মুখ ্নারাবে
- আপনার শিশু তাঁর নিজের হাতের আগুল চোষা শুরু করবে
- আপনার শান্ত সন্তানটি হঠ্যাৎ উত্তেজিত হয়ে যাবে
এই লক্ষনগুলো দেখলেই আপনি আপনার বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে পারবেন।
আপনার শিশুকে দিনে ৮ থেকে ১২ বার দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। প্রতিবারে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ধরে দুধ খাওয়ান। এটাই বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর উত্তম পন্থা।
লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
আমাদের লেখা পাঠাতে চাইলে মেইল করুনঃ girlsworld24com@gmail.com
আমাদের সামাজিক মাধ্যমগুলো
[su_button url=”https://twitter.com/GirlWorld24″ target=”blank” background=”#2de6ef” color=”#000000″ radius=”round” icon=”icon: twitter”]টুইটার[/su_button] [su_button url=”https://www.facebook.com/GirlWorld24/” target=”blank” background=”#2d45ef” color=”#ffffff” radius=”round” icon=”icon: facebook-f”]ফেসবুক[/su_button]
[su_box title=”আরও পড়ুন” style=”glass” box_color=”#000000″ title_color=”#ffffff” radius=”20″][su_posts template=”templates/list-loop.php” posts_per_page=”3″ order=”desc” orderby=”rand” ignore_sticky_posts=”yes”][/su_box]