আমাদের কাছে রাত মানেই ফোন টিপাটিপি। রাতে না ঘুমালে ক্ষতি হয় কি হয় না সেই নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথাই নেই।
আমরা মনে করি রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমালেই হবে। কিন্তু রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমালে কি ক্ষতি হয়
সে সম্পর্কে আমরা ভেবেও দেখি না। বিজ্ঞানীরা এর উপর গবেষণা করে দেখেছেন, যারা টানা রাত জেগে থাকে তাদের
শরীর ভিতর থেকে ভেঙ্গে পরে।
আরও পড়ুন
রাত জাগার ৮টি ক্ষতিকর দিক বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছেঃ
- উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধিঃ
যারা টানা ২-৩ দিন রাত জেগে থাকেন তাদের শরীরের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে যার ফলে তাদের রক্তচাপ
বৃদ্ধি পায়। এই রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। - শরীরের ওজন বৃদ্ধিঃ
টানা ২-৩ দিন ৬ ঘণ্টার কম ঘুম হলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ২৫ শতাংশ। এর কারন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে খুদা বেড়ে যায়। আর ওজন বৃদ্ধির ফলে
ডায়াবেটিস ,কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের মতো নানা ধরনের রোগ শরীরে বাসা বাধে। - ব্রেনের পাওয়ার কমে যাওয়াঃ
ঘুমের কারনে আমাদের ব্রেন নিজেকে নিজে রিজুভিনেট করে থাকে। তাছাড়াও পরিমিত ঘুমের কারনে সারাদিনে আমরা যা যা করেছি আমাদের ব্রেন সেইগুলোকে
স্টোর করে রাখে। তাই নিয়মিত পরিমিত ঘুম না হলে আমাদের স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে লোপ পেতে থাকে। পাশাপাশি মনোযোগ ও বুদ্ধিমত্তা কমে যায়। - জীবনের আয়ু কমে যায়ঃ
কম ঘুমানোর জন্য আমাদের শরীরের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হার্ট ও ব্রেন দুর্বল হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই যারা কম ঘুমান তাদের আয়ু কমে যায়। - ডিপ্রেশনের মাত্রা বেড়ে যায়ঃ
দিনের পর দিন যারা ঘুমে অনিয়ম করছেন তাদের ব্রেনের ফিল গুড হরমনের ক্ষরণ হচ্ছে। ফলে তারা খুব দ্রুতই ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়ে পরেন।
তাই নিজেকে চাঙ্গা রাখতে ঘুমের ব্যাপারে কোন কম্প্রোমাইজ করবেন না। - সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যাওয়াঃ
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের ব্রেন ক্লান্ত হয়ে পরে। ঠিকঠাক মত কাজ করে না।
তাই কোন কিছুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায়। - ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়ঃ
ঠিকঠাক মত না ঘুমানোর জন্য আমাদের শরীরের কর্টিজল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে বেড়ে যায়। তাই আমাদের মেজাজ সবসময় গরম থাকে পাশাপাশি
ত্বকের কোলাজেনের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য কমে যায়। - না ঘুমালে হার্ট শেষঃ
ঘুমের সাথে হার্টের সম্পর্ক সরাসরি। তাই হার্টের ডাক্তাররা ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিয়মিত না ঘুমানোর কারনে আমাদের হার্ট
দুর্বল হয়ে পরে। তাই যেকোন সময় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।