অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম করোনাভাইরাস মুক্ত হয়েও চলে গেলেন না ফেরার দেশে
রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর এই মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোক জানিয়েছেন।
মাহবুবে আলম ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ধরে থাকা একমাত্র আইন কর্মকর্তা।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল, ৭১ বছর। মাহবুবে আলম স্ত্রী ও এক মেয়ে ছেলে রেখে গেছেন।
সামরিক হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন জ্বর নিয়ে। সেখানেই তাঁর পরীক্ষা করা হয়। রেজাল্ট আসে করোনা পজিটিভ।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় ধীরে ধীরে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। অবস্থা বেগতিত দেখে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল পদে ছিলেন ২০০৯ সাল থেকে
একাধারে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও ছিলেন। একাত্তরের মানবতাবিরোধী মামলাগুলোর বিচারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মামলাগুলোতেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন।
তাঁর এসব অবদানের করা স্মরণ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, “মাহবুবে আলম বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা পরিচালনায় অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন একজন প্রথম সারির যোদ্ধা। ”
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “তিনি একজন প্রথিতযশা আইনজীবী হিসেবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক আইনি বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভূমিকা রেখেছেন এবং সবসময় ন্যায়নিষ্ঠ থেকে আইনপেশায় নিয়োজিত ছিলেন, যা অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।”
আমাদের সামাজিক মাধ্যমগুলোঃ টুইটার ফেসবুক