৫ কারনে প্রেমের বিয়ে টিকছে না!
ডিভোর্স এর হার বেড়েই চলছে। ২০১৯ সালে এর হার ছিল ৪৯.৭৫ শহরে আর জেলা শহরে ৩৫.৯৫।
আর ২০২০ এ এর হার দাড়িয়েছে ৫৫.৪৫ শতাংশে। এর মধ্যে প্রেমের বিয়ের হার ৩৫.৭৬ শতাংশ।
ইদানিং দেখা যাচ্ছে প্রেমের বিয়ে খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে যাচ্ছে কিন্তু টিকে যাচ্ছে পারিবারিক ভাবে হওয়া বিয়ে গুলো।
কিন্তু হওয়ার কথা ছিল উল্টো। এর কারন কি! বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে অভিযোগ একটাই তুমি পাল্টে গেছ।
আগের মত সময় দিচ্ছ না, ঘুরতে দিয়ে যাও না। কিন্তু একটা কথা তা হচ্ছে, মানুষ কি সারা জীবন একরকম থাকতে পারে?
আপনার মধ্যেও তো পরিবতর্ন এসেছি৷ তহলে আপনার সঙ্গী বা সঙ্গীনীর হলে দোষ কি!
হ্যা একটা ভালবাসার বিয়ে আমাদের চোখে অনেক স্বপ্নকে জাগিয়ে রাখে।
কিন্তু আমরা ভুলে যাই এতদিন আমরা ভালবাসার মানুষটার বাইরের কিছু অভ্যাস দেখিছি সেটাকে ঘরেয়াভাবে মিলিয়ে মন ভাঙ্গার কোন মানেই নেই।
এখন আপনার সামনে যেই বাস্তবিক মানুষ টা আছে তাকে ও তার সারাদিনের কাজ ভালোবেসে মেনে নেওয়াটাই হবে আপনার ভালবাসার প্রতি আপনার সম্মান।
১. প্রেমের দিন গুলোর স্মৃতিচারন করবেন নাঃ
একজন প্রমিক প্রেমিকা যখন স্বামী স্ত্রী হন তখন কোন না কোন মুহূর্তে অবশ্যই তারা স্মৃতিচারণ করেন।
কারন ওগুলো থাকে গোল্ডেন ডেইস। ভুলে যাওয়া যায় না। কিন্তু আপনি একাই যদি এগুলো মনে করেন আর ভাবেন আগের মতো কিছুই নেই।
তাহলে তা বোকামি হবে। আবার আপনি আপনার প্রাক্তনের কথা যদি চিন্তা করেন তখন আপনার বর্তমান ভাববে আপনি সুখে নেই।
এই একটাই কারন যথেষ্ট সম্পর্কে ফাটল ধরার বা ভেঙে যাওয়ার।
২. অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন নাঃ
আপনার সাথে অন্যকারো তুলনা করলে সেটা আপনি কিভাবে দেখবেন! নিশ্চিয়ই খারাপ লাগবে।
আর এটা স্বাভাবিক ও। তাই ওর এটা ভাল, ঐ অভ্যাসটা ভাল, ভাল এটা করে, ঐটা করতে পারে এগুলো বলা থেকে বিরত থাকুন।
যেকোন ভাল কাজের জন্য একজন আরেকজন কে উংসাহ দিন। পাশে থাকুন। কোন কাজ নষ্ট হলে বা খারাপ হলে স্বান্তনা দিন।
এতে ভালবাসার বন্ধন মজবুত হবে।
৩. কখনোই কতৃত্ব দেখাবেন নাঃ
এটা করো না, ওটা করো না, ওখানে যেও না এগুলে একটা বাচ্চাকে অনায়াসেই বলা যায়।
কিন্তু আপনার জীবনসঙ্গী নিশ্চইয় বাচ্চা নন। সারাদিন টুকটাক সব কিছু জানতে চাইলে সেই মানুষটি বিরক্ত হয়।
যার ফলে দূরত্ব বাড়ে। তাই তাকে তার মতই ছেড়ে দিন। জেরা করবেন না। এতে সে আরও বিগড়ে যাবে।
যখন একসাথে থাকবেন তখন বুঝাবেন আপনি কোনটা পছন্দ করেন বা করেন না।
দেখবেন সে নিজে থেকেই আপনার পছন্দ অপছন্দের উপরে খেয়াল রাখবে। এতে ভালবাসার বন্ধন ও মজবুত হবে।
৪. একে অপরকে সময় দিনঃ
প্রেমের দিন গুলোর ফোনের এই পারের মানুষ আর ঐ পারের মানুষ টা এক নয়।
এতদিন শুধু বাহ্যিক দিক গুলো দেখেছেন। কিন্তু ভিতরের মানুষটাকে তখনি বুঝতে পারবেন যখন একসাথে থাকা শুরু করবেন এবং
সময় দিতে থাকবেন। অনেক সম্পর্ক আছে যা সময়ের না দেওয়ার কারনেই ভেঙে যায়।
কথায় আছে,” সময় সব কিছুই ঠিক করে দেয়”। তাই বেশি বেশি সময় দিন আপনার সঙ্গীকে।
৫. দোষারোপ থেকে বিরত থাকুনঃ
দোষারপ থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন৷ ভুল কাজ হলে বুঝিয়ে বলুন।
কারণ আপনার রাগের সময়কার কথা আপনার সঙ্গীকে অন্যরকম বার্তা দিতে পারে।
একজন আরেকজনের ভুল গুলোকে শুধরে দিন।। তবে সাবধানে।
তোমার এই দোষ তুমি এটা করেছ, এগুলো আপনার ভালবাসার মানুষকে বিরক্তিকর মানুষ হিসেবে উপস্পন করতে পারে৷
এই ধরনের অভ্যাস দূর করুন। সম্পর্ক ভাল থাকবে।