গর্ভবতী মায়ের কি করনীয় যখন শিশু গর্ভে থাকে

গর্ভবতী একজন মায়ের কি কি করনীয়

অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় একজন গর্ভবতী মায়ের। গর্ভবতী একজন মায়ের কি কি করনীয় আসুন জেনে নেই কিছু টিপস

গর্ভবতী মায়ের কি করনীয় এবং কি খাবার খেতে হবে?

প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত ও খাদ্য ঘাটতি দূর করে সুষম খাবারে, তাই গর্ভবতী মায়েদের প্রচুর পরিমাণে সুষম খাবার খেতে হবে। একজন মা যখন গর্ভবতী হন তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, ডিম, গোস্ত, এবং দুধ খেতে হবে। এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের প্রচুর পরিমাণে সিজনাল ফল এবং শাকসবজি খেতে হবে। এই সিজনাল ফল এবং শাকসবজি বাজার থেকে কিনে আনার পর প্রায় ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে যাতে করে ফরমালিন দূর হয়ে যায়। আর গর্ভবতী অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে। আর, তেল যুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি শাক খাওয়া যাবে?, গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না, গর্ভবতী মায়ের খাদ্য ও পুষ্টি, গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা।

একজন গর্ভবতী মায়ের কি ধরনের কাজ করতে হবে?

একজন নারী যখন গর্ভবতী হন তখন তাকে প্রথম তিন মাস মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং অবশ্যই শেষের তিন মাসেও এই দিকে নজর রাখতে হবে। তবে প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাসে একজন গর্ভবতী নারী হালকা হাঁটাচলা করবে। এই সময় কোনভাবেই ভারি কাজ করা যাবে না। আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের ঔষধ, গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা, গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা।

গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম কি?

একজন গর্ভবতী মা দিনে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা ঘুমাবে। না ঘুম আসলে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে। আর রাতে অবশ্যই আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে একজন গর্ভবতীর। আর ঘুমানোর সময় অবশ্যই বা কাঁত হয়ে ঘুমাতে হবে।

গর্ভবতী অবস্থায় কি পরিধান করা উচিত?

একজন গর্ভবতী মায়ের অবশ্যই ঢিলেঢালা কাপর, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং আরামদায়ক পোশাক পরিধান করা উচিত। এবং হাটার জন্য খুবই নরম জুতো পায়ে দিবে। কিন্তু অবশ্যই হিল পরিহার করতে হবে।

গর্ভবতী মায়ের কি করনীয় | গর্ভবতী অবস্থায় কি ভ্রমণ করা উচিত?

একজন নারী যখন গর্ভধারণ করেন, তখন উনার উচিত হবে না প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস কোন প্রকারের ভ্রমণে যাওয়া। কারণ ভ্রমণের সময় উঁচু নিচু পথ থাকে এবং ঝাঁকি খাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। যা একজন গ্রভধারি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক খারাপ। তবে সকালে এবং বিকেলের দিকে সামান্য পরিমাণ হাঁটাহাঁটি করা ভালো এতে মন মেজাজ ভালো থাকে। ভালো হয় যদি ফুলের বাগান, নদীর ধারে, স্বাস্থ্যকর পার্কে ভ্রমণ করাই অতি উত্তম।

গর্ভবতী অবস্থায় একজন মায়ের কি ধরনের শারীরিক যত্ন এবং রোগ প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?

সন্তান যখন মাতৃগর্ভে আসে তখন মাকে নিয়মিত ভালো সাবান দিয়ে গোছল করতে হবে। তদুপরি হাতের এবং পায়ের নখ ছোট রাখতে হবে। গর্ভকালীন অবস্থায় একজন মায়ের দাঁতের মাড়ি এবং দাঁত নরম থাকে, তাই এই সময় মাড়ির বিশেষ যত্ন নিতে হবে। আর টিটেনাস টিকা অবশ্যই প্রথম চার থেকে আট মাসের মধ্যেই দিয়ে দিতে হবে। কারণ গর্ভকালীন অবস্থায় মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম থাকে। তাই এই সময় অবশ্যই গর্ভবতী মায়েদেরকে বিভিন্ন ধরনের ছোঁয়াচে রোগ থেকে এবং রোগী থেকে দূরে থাকতে হবে।

গর্ভবতী মায়েদেরকে কি কি বিশেষ সতর্কতা মেনে চলতে হবে?

নারীরা যখন গর্ভবতী হয় তখন তাদেরকে ভালো ভালো চিন্তা করতে হবে, আর আবেগ, মানসিক চাপ, ভয়, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। গর্ভবতী অবস্থায় প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস সঙ্গম করা মোটেও যাবে না এতে সমস্যা হবে। আর কোন প্রকারের মেডিসিন নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর এই সময় প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে, যেন পানিশূন্যতা না হয়।